May 3, 2024, 6:00 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই ডাকাতসহ ৫ জন গ্রেফতার মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে, আট প্রার্থীর মানোনয়ন পত্র জমা গরমে তরুণ তরুণীদের শরবত, ঠান্ডা পানি বিতরণ সুজানগরে লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণে সেমিনার ও প্রদর্শনী পাইকগাছায় মহান মে দিবস পালিত পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা ; ধর্ষক গ্রেপ্তার পাইকগাছা পৌরসভার পক্ষ থেকে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ;উত্তাপ কমাতে পানি দেওয়া হয় সড়কে পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জনই গলাচিপার প্রতিবন্দ্বী ফজর পেল দোকান করার মালামাল
২০ গ্রামের পঞ্চাশ হাজার মানুষের জনভোগান্তি ইট পাথরের ব্রীজে কাঠের তালি

২০ গ্রামের পঞ্চাশ হাজার মানুষের জনভোগান্তি ইট পাথরের ব্রীজে কাঠের তালি

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ইট পাথর আর লোহার রড দিয়ে তৈরী ব্রীজটি এখন গ্রামবাসির মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে এই ব্রীজটি ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে স্থানীয়রা টাকা উঠিয়ে কাঠ দিয়ে তালি মেরে চলাচল করছেন। এতে চলাচলে ঝুকি বাড়ছে। এদিকে এই ব্রীজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে গ্রামের তিনজন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন। লন্ডভন্ড এই ব্রীজটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামে জিকে সেচ খালের উপর নির্মিত। গোলকনগর গ্রামের বাসিন্দা শামসুদ্দিন জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের গোলকনগর খালের ওপর এই ব্রীজটি ১০ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে খালের দু’পাড়ের প্রায় ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ জনভোগান্তিতে পড়েছেন। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী ভাঙা ব্রিজের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে যতায়াত করছেন। শৈলকুপার হাটফাজিলপুর-নিত্যনন্দনপুর বাওড় এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা গোলকনগর খাল। এই ব্রীজ দিয়ে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কৃষি মালামাল পরিবহন করা হয়। ব্রীজের পশ্চিমে নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়ন। পূর্ব দিকে হাটফাজিলপুর বাজার। নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ গ্রামের মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু বছরের পর বছর ব্রীজটি ভেঙ্গে থাকার কারণে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এমপিরাও ব্রীজটি নির্মানে কোন ভুমিকা রাখছেন না। খালের দুই পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও ভাঙা ব্রীজের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ব্রীজটি বহুদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় আছে। অনেকে মারা গেছে, অনেকে পড়ে আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের এমপির কাছে গিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সবাই বলে এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রীজ, তার্ ানির্মান করবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান বলেন, আমাদের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেই। যতটুকু বাজেট হয়, সেগুলো দিয়ে আমরা মেরামত কাজ করে থাকি। এই ব্রীজের সমস্যার কথাটা আমি জানি। শুধুমাত্র এই ব্রীজ না এমন বহু ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। আমরা ব্রীজগুলো নতুন করে নির্মানের জন্য প্রস্তবনা পাঠিয়েছি। পাশ হয়ে আসলে নতুন নতুন ব্রীজ তৈরী করা হবে।

ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD